Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভাষা ও সংস্কৃতি

টাঙ্গাইলের ভাষা ও সংস্কৃতি টাঙ্গাইলের ভূ-খন্ড বৈচিত্রময়। জেলাটি ঐতিহ্যবাহী ও বহু বৈচিত্রমন্ডিত সুপ্রাচীন জনপদ। বাংলাদেশের জেলাসমূহের মধ্যে ১৯তম জেলা টাঙ্গাইল। আগে এই জেলার ভূ-খন্ডটি ছিল নাসিরাবাদ জেলা (বর্তমানে ময়মনসিংহ জেলা)। ঐতিহাসিকদের মতে প্রাচীন টাঙ্গাইল আদিকালে আসাম কামরূপ জেলার অংশ ছিল। এখানে ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ৩ মে মহকুমা স্থাপন হয়। ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৫ নভেম্বর আটিয়া থেকে টাঙ্গাইলে মহকুমাটি স্থানান্তর হয়। আর সেই মহকুমাটি ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১ ডিসেম্বর জেলায় পরিণত হয়। টাঙ্গাইল জেলার উত্তরে ময়মনসিংহ ও জামালপুর জেলা, পূর্বে ময়মনসিংহ ও গাজীপুর জেলা দক্ষিণে ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে যমুনা নদী ও সিরাজগঞ্জ জেলা। এজেলার উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে রয়েছে পাহাড়ি এলাকা। পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে রয়েছে যমুনা ধলেশ্বরী, ঝিনাই, বৈরান লৌহজং, মরা আত্রাই প্রভৃতি নদী। আর মাঝখানে রয়েছে খাল-বিল, বাওর, রাখ ও শাখা নদী বেষ্টিত সমতল ভূমি। এ জেলার অবস্থান গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা অববাহিকার প্রায় মধ্যভাগে। তাই এখানকার ভাষা ও সংস্কৃতি বৈচিত্রময়। 


একটি জাতির উন্নতির চাবিকাঠি হলো তার ভাষা ও সংস্কৃতি। টাঙ্গাইলের প্রধান ভাষা বাংলা। ব্যবহারের দিক থেকে বাংলা পৃথিবীর সপ্তম ভাষা। এই ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করতে বাঙ্গালীদের রক্ত দিতে রয়েছে। এই রক্ত দেওয়ার ফলে আজ বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষায় স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলা আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা। টাঙ্গাইল জেলার বসবাসকারী আদিবাসীদের মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে গারো সম্প্রদায়ই বেশি। হাজং, মান্দি ও কোচ উপজাতিদের সংখ্যা খুবই কম। গারোদের মাতৃভাষা গারো। আচিক ভাষা হচ্চে গারোদের স্ট্যান্ডার্ড ভাষা। কিন্তু মধুপুর অঞ্চলের গারোরা আচিক ভাষায় কথাবার্তা বলে না। তারা আঞ্চলিক আবেং ভাষায় নিজেদের মাঝে কথাবার্তা বলে। গারো ভাষায় লিখিত কোনো বর্ণমালা নাই। কথিত আছে যে, গারোরা যখন তিববত থেকে এদেশে আগমন করে, তখন যার জিম্মায় গারো ভাষায় পশু চর্মে লিখিত যে সমস্ত বই পুস্তক ছিল, তিনি ক্ষুধার জ্বালায় পথিমধ্যে সমুদয় বই পুস্তক সিদ্ধ করে খেয়ে ফেলেন। বিষয়টি অনেকদিন গোপন থাকার পর যখন জানাজানি হয় তখন আর কারো পক্ষে গারো বর্ণমালা স্মরণ করা সম্ভবপর হয়নি। বর্তমানে গারোরা পারিবারিক মন্ডলে নিজেদের ভাষায় কথা বললেও কর্মক্ষেত্রে তারা বাংলা ভাষাই ব্যবহার করেন। কিন্তু গারোদের ভাষার বৈচিত্র রয়েছে। সাধারণভাবে গারো সম্প্রদায়ের ভাষা আচ্ছিক কুচ্চিক ও মান্দি কুচ্ছিক এ দুই ভাগে বিভক্ত। এরপরও বিভিন্ন গোত্রের পৃথক ভাষায় প্রচলন আছে। উনিশ শতকের সত্তরের দশকে ঢাকায় সিভিল সার্জন মিস্টার জেমস ওয়াইজের লেখা ‘নোটস অন দ্যা রেসেস ফাস্ট এ্যান্ড ট্রেডস অফ ইস্টার্ণ বেঙ্গল’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছে বহু ভাষা একত্রিত হয়ে হয়েছে গারো ভাষা। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে ত্রিপুরাদের ভাষায় চাউলকে যেমন মিরং বলে তেমনি গারোরাও চাউলকে মিরং বলে। 


বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা ছাড়াও টাঙ্গাইলের জনপদে আদিবাসী সম্প্রদায়ের আরো নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। টাঙ্গাইলের কোচ সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষা আছে কিন্তু তাদের ভাষার কোন বর্ণমালা নেই। বিখ্যাত গবেষক হাডসনের মতে কোচদের ভাষাটি বাংলা, উড়িষা, গন্ড, হিন্দি, অহম ও ছোট নাগপুরী ভাষার সংমিশ্রনে সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এ ভাষাটিকে একটি ক্ষণজন্মা ভাষা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আদি কোচদের ভাষার সঙ্গে হাজং ও অহমীদের ভাষার কিছু কিছু মিল খুঁজে পাওয়া গেলেও অনেক ক্ষেত্রে উচ্চারণের বৈপরীত্যও লক্ষ করা যায়। আদিকালে এরা উভয়ই একই। ভৌগলিক এলাকার বাসিন্দা ছিল। যেমন পূর্বে কোচ ও হাজং উভয় সম্প্রদায়ই হাজো নগরের আদি অধিবাসী। কোচদের মাঝে যখন হিন্দুকরণ প্রক্রিয়া ব্রাহ্মণ রাজ্যে প্রবেশ করে, তখনই রাজানুকূল্যে ব্রাহ্মণরা অহমীয়া ভাষায় সংস্কৃতি সাহিত্যের অনুবাদ ও প্রচার করে। এতে অহমীদের ভাষার প্রভাব পড়ে কোচদের কথ্যভাষার উপর। ফলে কোচ ভাষার সঙ্গে অহম ভাষার সংমিশ্রন ঘটে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ও বাংলাভাষী। কিন্তু উচ্চারণ শব্দ অর্থ ইত্যাদি বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় দুই দেশের ভাষার কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। দুই অঞ্চলের সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় রীতি নীতির ভিন্নতার কারণে দুই অঞ্চলের ভাষায় মধ্যে এই পার্থক্য। তবুও দুই দেশের বই পুস্তকের ভাষায় অধিকাংশ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ভিন্নতা প্রকাশ উপভাষা ও আঞ্চলিক ভাষাগুলোতে। টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক ভাষা সরলতা পূর্ণ। টাঙ্গাইলের চারপাশের পাঁচটি জেলার অনেক শব্দই টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক ভাষা স্থান পেয়েছে। এ কারণে টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক ভাষায় নিকট পাঁচটি জেলার অনেক শব্দ ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। টাঙ্গাইলের লোক সাহিত্য, পুঁথি সাহিত্য ও প্রবাদ প্রবচনে ঐ ধারাটি লক্ষ্যনীয়। 


টাঙ্গাইল সদর থেকে জেলার চার দিকের দশ মাইলের মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়। নানা রকমের আঞ্চলিক শব্দ এবং উচ্চারণের ভিন্নতা। উত্তর এবং দক্ষিণের উচ্চারণে লক্ষ করা যায় ব্যাপক পার্থক্য। এ জেলার উত্তরাঞ্চলের উচ্চারণের সঙ্গে ময়মনসিংহের টান যেমন লক্ষ করা যায়, তেমনি দক্ষিণাঞ্চলের কিছু অংশ এবং পশ্চিমাঞ্চলে সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলের টান কানে বেজে ওঠে। টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর অঞ্চলে আদিবাসী বসতি রয়েছে। এদের ভাষাও স্বতন্ত্র। যেমন- মিখো চাবো চিখো রিংবো চেং চেং চানাম বে চেং চেং চাওছে ওবাং মাগেন কারি নাম জাওয়া বাংলা-ভাত খাও পানি খাও টক খেয়ো না টক খেলে পেটের ব্যাথা ঘা শুকাবে না। তরুণ গবেষক শফিউদ্দিন তালুকদার তাঁর ভূঞাপুরের জনজীবন ও সংস্কৃতি গ্রন্থে ভূঞাপুরের চরাঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা, ভাষার উচ্চারণ ও শব্দের ব্যবহার সম্পর্কিত একটি চমকপ্রদ মেয়েলী ঝগড়ার অংশবিশেষ উল্লেখ করেছেন। তাহলো- ‘ড্যাহরডা আগে ভালাই আছিলো।’ ব্যাবাক কামেই অতো ছককল ধরে নাই।’ অতো দগল-ফসল কতাও কয় নাই। কতায় কতায় ফলনা-দকনাও দ্যাহায় নাই। পত্তি বিষুদবারে গোদাইর আটে যাওনের সুম হইছ করছে, কি কি হদাই আনোন লাগবো। এ্যাহোন আমার কাছে কিছুই হইছ করে না। আন্দো ঘরের বোগলেই আহে না। ওশোরাত থিকাই দেরিব্যাড়া দিয়া বাইর অইয়্যা আটে যায়। হইছ কোরবো ক্যা? ওই যে হুবুচুনি একটা নিহা কইরা নইছে। এ্যাহন হে যা কয় তাই হুনে। তার হাথে এ্যাকটা ব্যাফাস কতাও কয় না। এই ড্যাহোরের জোনতেই তো মাগির এ্যাতো ডোমফাই।’ এরকম বহু আঞ্চলিক ভাষার উদাহরণ রয়েছে। 


এ জেলার উত্তরাঞ্চলের, দক্ষিণাঞ্চলের ও পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায়। লেখাটি সংক্ষিপ্ত করণের জন্যই শুধু কিছু শব্দের আঞ্চলিকতার উদাহরণ আলোকপাত করা যাক। পুঁথি রচিয়তা জনাব শাহজাহান মিঞা ‘আগেকার ম্যালা কথা’ পুঁথিতে টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক ভাষার কিছু চিত্র তুলে এনেছেন। যেমন- ‘বাঙ্গালিদের মূল ভাষার গাইবো যে চরণ বাংলা শব্দ উইঠা অইলো আরেক ধরণ। বাঙ্গালিদের বাঙ্গালিত্ব্যের রাইখো যে স্মরণ লুঙ্গিরে যে তফন কইছি শার্টে রে পেরন। কাঠা রে যে চোবা কইছি বৃষ্টি রে যে দেওয়া নড়ি রে যে পাজুন কইছি সুপারি রে গুয়া। মইয়ের ভিতর খিল লাগাইছি তারে কইছি কোওয়া জামাই মইরা বিধবা অইছে তারে কইছি বেওয়া। ঘরের পিছন কাইনছাল কইছি গরমে রে গুমা আটুর উপর কাপড় পড়ছি তারে কইছি ডুমা। চুনে রে যে দই কইছি লবণেরে নুন জামাই রে যে দামান কইছি ভাল রে যে গুণ। বারিন্দা রে উশরা কইছি মাচিরে উগার ঝগড়া রে যে কয়চান কইছি ধৈর্যেরে সুমার। ঠান্ডারে যে টেলকা কইছি গরমেরে ততা ছিড়া কাপড় দিয়া আমরা বানাইছি যে খেতা। বাতি রে যে হলক কইছি অনেকে রে ম্যালা ছিলিং এ-রে চাং কইছি সূর্য্য রে বেলা। পোলা রে যে গেদা কইছি বাপে রে বাজান মাছ থাকছে মান্দা ভরা গোলা ভরা ধান। আদর রে সোয়াগ কইছি দোষের ছক্কল শীতে রে যে জার কইছি মাতববর রে মোড়ল। তরকারি রে শালুন কইছি রসা রে যে ঝোল সারী সারী নাও ভিরাইছি তারে কইছি কোল।’ 


টাঙ্গাইল জেলার যেমন আছে প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্য, তেমনি আছে লোক সাহিত্য ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য। লোক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে টাঙ্গাইল জেলার অবস্থান অনেক উঁচুতে। এ অঞ্চলে প্রচুর লোকসাহিত্য ও লোক সংস্কৃতির উপাদান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সংস্কৃতি হলো একটি জাতির ভাব, চিন্তার ফসল, তার ভালো লাগা, মন্দ লাগা, ভৌগলিক ও ঐতিহাসিক পরিবেশও এর সঙ্গে যুক্ত। মানব জীবনের এমন কোন দিক নেই যার সঙ্গে ফোকলোর বা লোক সাহিত্য সংশ্লিষ্ট নয়। নৃ-তত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, ইতিহাস, দর্শন, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, ব্যক্তি-পরিবার, সমাজ-রাষ্ট্র প্রশাসন প্রভৃতি ফোকলোর চর্চার অন্তর্ভূক্ত। এক কথায় বলা যায় যে, কোন জাতির স্বরূপ পরিচয় অবহিতির ক্ষেত্রে এবং তদনুযায়ী জাতির সত্তার গঠন-পক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ফোকলোরের বিকল্প নেই। লোক বিজ্ঞানীর ড. আশরাফ সিদ্দিকী সাহেবের মতে ‘‘আমাদের আবহমান সংস্কৃতি তথা ভাষা ও জীবন ধারার উপর হিস্টোরিক ও জিওগ্রাপিক গবেষণা চালালে বহু অতীত- ঐতিহ্যের মটিভ পাওয়া যাবে। আমার এই প্রবন্ধে সেই মোটিভ খোঁজারই একটা প্রয়াস মাত্র। ফোকলোর কার্যত লোক জীবন কেন্দ্রিক তথা প্রয়োগিক ও মানস বৈশিষ্ট্যের তার জীবনাচরণ ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের নানা মাত্রিক অনুশীলনেরই একটি বিশ্ব কেন্দ্রিক পঠন-পাঠনের প্রেক্ষিত। ফোকলোর চর্চা ও অনুশীলনের মাধ্যমে লোকসমাজ ও লোক জীবনের সঙ্গে আমাদের জ্ঞান জগতের সম্পৃক্ত সাধন করা এবং দেশের বৃহত্তর সংস্কৃতির ঐতিহ্যের সঙ্গে আমাদের জ্ঞান পিপাসু প্রজন্মকে সমন্বি^ত করা সম্ভব। ফোকলোর ইংরেজি শব্দ। আমাদের দেশের পন্ডিত গবেষকগণ ফোকলোরের বিভিন্ন নামের উল্লেখ করে থাকে। এক্ষেত্রে এর বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে যে অভিধানগুলো সবিশেষ পরিচিতি পেয়েছ সেগুলো হচ্ছে লোক-শিক্ষা, লোক-জ্ঞান, লোক-তত্ত্ব ইত্যাদি। তবে আমার মতে লোক সাহিত্য ও সংস্কৃতি অভিধানটি অধিক পরিচিত এবং সঠিক। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ নিরক্ষর কিংবা অল্প শিক্ষিত। তাদের জীবনের সঙ্গে আস্টে-পৃষ্টে জড়িত যে সংস্কৃতি তাকেই আমরা লোক সংস্কৃতি বলে মনে করি। 


যে সংস্কৃতির সৃষ্টি, বিকাশ ও প্রবহমানতা কোন পন্ডিত গবেষণা আলোচনা কিংবা কতিপয় উচ্চ শিক্ষিত নগরবাসী বুদ্ধিজীবির চর্চার মুখাপেক্ষী নয়। মোট কথা লোক সাহিত্য বা লোক ঐতিহ্য চির সচল, এটি মৃত ফসল নয়। পাশ্চাত্য পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ লোক বিজ্ঞানী ডক্টর রিচার্ড এম ডরসন তাঁর বিভিন্ন গ্রন্থে বারবার লিখেছেন ‘লোক-ঐতিহ্য সংগ্রহ একটি আনন্দজনক অভিজ্ঞতা-এর মধ্যে দিয়ে আমি দেশের লোকমানুষের সঙ্গে পরিচিত হই তাদের ঘৃণা ও বিদ্বেষের ব্যারোমিটার কখন কীভাবে উঠানামা করেছে তা আমি অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে জানতে পারি, আমি বৃহত্তর দেশকে জানি’। আমাদের টাঙ্গাইল তথা সোনার বাংলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস লিখতে হলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিরাট বিপুল লোক ঐতিহ্য ও লোক সাহিত্যকে তার উৎসকে আজ নতুন মূল্যবোধ নিয়ে ভাবতে হবে, জানতে হবে। এ জানার অর্থ আমাকেই জানা এবং পরিপূর্ণভাবে জানা। পলাশীর বিপর্যয়, সিপাহী বিপ্লব, ফকির ও সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, জালিয়ান ওয়ালাবাগ হত্যা ফরায়েজি আন্দোলন, ওয়াহাবি বিদ্রোহ, নীলবিদ্রোহ, বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন, স্বরাজ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বহু ছড়া, গান ও গল্প মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল। এগুলোই ছিল জনগণের মনের আসল ব্যারোমিটার। টাঙ্গাইলের লোকসাহিত্যের ভান্ডার বিশাল। এর নিজস্ব স্বত্ত্বাও রয়েছে। প্রাচীন কালে টাঙ্গাইল অঞ্চল আসামের অন্তর্গত কামরূপ রাজ্যের অন্তর্গত ছিলো। আর কামরূপ রাজ্য ছিলো তান্ত্রিক সাধনার এক তীর্থ কেন্দ্র। এ কারণেই এ রাজ্যের রাজেন্দ্রবর্গ দ্বারা সাহিত্য ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে। 


বাংলা লোকসাহিত্যের অমর সম্পদ বাবু দীনেশ চন্দ্র সেন সংগৃহিত ময়মনসিংহ গীতিকার পটভূমির এক বড় অংশ জুড়ে রয়েছে টাঙ্গাইল জেলা। আর দক্ষিণারঞ্জন মিত্রের ঠাকুরমার ঝুলির অনেক রশদ সংগ্রহ হয়েছে টাঙ্গাইল থেকে।এই জনপদের লোকসাহিত্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পল্লীগীতি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী, মারফতি, বিচার, ধুয়া, জারি, সারি, রাখালী, বারোমাসী, মালসী, মেয়েলীগীতি, বিয়েরগান, সঙ, ঘাটুগান, কবিগান, বাউলগান, লোকগাঁথা, পালাগান, ছবকিগান, চটকাগান, পুঁথিপাঠ, মন্তরপাঠ ইত্যাদি। টাঙ্গাইল জেলার এসব লোকসাহিত্যে একদা স্থান করে নিয়ে ছিলো- প্রেম, বিরহ, বিচ্ছেদ, ধর্ম, ইতিহাস, ঐতিহ্য। আর টাঙ্গাইল জেলার লোক কবিদের দ্বারা বিভিন্ন সময় রচিত হয়েছে লোকজ ছড়া, ধাঁধা, প্রবাদ প্রবচন।লোকনাট্যের মধ্যে আছে সঙযাত্রা, বেহুলারগান বা ভাসান যাত্রা ও ঘাটুগান। সঙযাত্রা হলো টাঙ্গাইলের নিজস্ব ঐতিহ্য। এই লোকনাট্যের সাথে রংপুর অঞ্চলের লেটুযাত্রার সঙ্গে কিছু মিল দেখা গেলেও উপস্থাপন আঙ্গিকে ভিন্নতা রয়েছে। সঙযাত্রার সঠিক কোন সংজ্ঞা পাওয়া যায় না। তবে নাট্যের মতো অন্যের কর্ম ও আচরণে অসঙ্গতি প্রদর্শনের জন্য ব্যঙ্গ বিদ্রুপকারী অভিনেতাকে সঙ বলা হয়। আর অন্যভাবে বলা যায় নাটকের মত করে উপস্থাপন করার নামই হচ্ছে সঙযাত্রা। টাঙ্গাইলের সঙযাত্রার কিংবদন্তির নটরাজের নাম সাজগীরি। তিনি বৃটিশ আমলে সঙযাত্রার অভিনয় করে ভারতবর্ষ মাতিয়ে ছিলেন। টাঙ্গাইলের বড় বাশালিয়া, ফলদা, বেতডুবা, নারান্দিয়া, গোবিন্দাসী প্রভৃতি গ্রামে সঙযাত্রার দল আছে। বিশেষ করে ফলদা, বড় বাশালিয়া ও বেতডুবার দল দেশের বিভিন্ন জেলায় ও বিভিন্ন টিভি মিডিয়াতে সঙ খেলে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। একদা টাঙ্গাইল অঞ্চল ঘাটু আর ভাসানের গানে প্রায় ভেসে গিয়েছিল। 



নাট্যচর্চা ও নাট্যাঙ্গন টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নাট্যচর্চা ও নাট্যাঙ্গনের অবদান উল্লেখ্যযোগ্য। এ প্রসঙ্গে করোনেশন ড্রামাট্রিক ক্লাবের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে। ১৯১১ সালে টাঙ্গাইলের করোনেশন ড্রামাট্রিক ক্লাব(সিডিসি) প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটেনের রাজা পঞ্চম জর্জের অভিষেক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভূক্ত দেশগুলিতে তখন উদাপিত হয় ‘করোনেশন’ উৎসব। এই পটভূমিতেই হয়তো ক্লাবের নাম করা হয় করোনেশন ড্রামাট্রিক ক্লাব। এই ক্লাব স্থাপনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন সে কালের প্রখ্যাত সমাজসেবী ও প্রথিতযশা আইনজীবী অমরেন্দ্র নাথ ঘোষ। ১৯১০ সালে টাঙ্গাইলে একটি কৃষি, শিল্প ও সাংস্কৃতিক মেলার আয়োজন করা হয়। সেই মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল নাট্যানুষ্ঠান। প্রতি রাতে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন সৌখিন নাট্যদশ সে সময় নাটক মঞ্চস্থ করে দর্শক হৃদয় জয় করে। নাটকের সেই অভাবনীয় জনপ্রিয়তা দেখে সম্ভবত অমরেন্দ্র নাথ ঘোষ এবং আরো কয়েকজন নাট্যরসিক গুণীজন মিলে আকুর টাকুর পাড়ায় পুরাতন লাশ কাটা ঘরের পিছন দিকে জনৈক ব্রাহ্মনের বসতবাবাড়ী আঙিনায় করোনেশন ড্রামাট্রিক ক্লাব গঠনের মাধ্যমে নাটমের মহড়া শুরু করে এবং লাশকাটা ঘরের কাছাকাছি যদুনাথ ভট্রাচার্যের ইজারাকৃত জমির উপর নাট্যমঞ্চ ও মিলনায়তন নির্মাণ করেন। ক্লাবের উদ্যোক্তরা প্রতিষ্ঠানের সমসাময়িক সময়েই নতুন জেগে উঠা চরে ভূমিকে সংস্কার করে এবং বিভিন্ন বৃক্ষ রোপন করে প্রায় একবর্গ মাইলের পার্ক প্রতিষ্ঠা করে করোনেশন পার্ক নামে। নব সৃষ্টির ধারায় সঞ্জীবিত হয়ে করোনেশন ড্রামাট্রিক ক্লাব নিরবচ্ছিন্ন নাট্যচর্চা ও নাট্যাভিনয়ের জগতে অন্যন্য প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি করোনেশন ড্রামাট্রিক ক্বাব শিক্ষা সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি, নৃত্যগীত, নৃত্যনাট্য, চিত্রকলা, চারুকলার প্রতিটি শাখা-প্রশাখার ব্যপ্তি ও বিকাশে অবদান রাখছে। উল্লেখ্য, ১৯১১-২৫ সালের মধ্যে এ ক্লাব প্রযোজিত নাটকের সংখ্যা কমবেশি ৩০টি। পরবর্তীতে শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিসাবে খ্যাত সন্তোষের ছয়আনি তরফের জমিদার হেমেন্দ্র নাথ রায় চৌধুরীর দান করা বর্তমান জায়গায় ১৯৪৪ সালে ক্লাব নিরালার মোড়ে স্থানান্তরিত হয়। 


সাংস্কৃতিক-পেশাগত সংগঠন সাহিত্যসংসদঃ ১৯৬০ সালের শেষের দিকে এই সাহিত্য সংসদের যাত্রা। এই সংগঠন অনেক কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ১৯৬৩ সালে এই সংসদ আয়োজন করে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্ত্রী। আধুনিক কবিসংঘঃ ১৯৫৮ সালে টাঙ্গাইলের কয়েকজন সংস্কৃতিক কমী বুলবুল খান মাহবুব, রফিক আজাদ, মীর আবুল খায়ের, আবু কায়সার, কৃষ্ণানন্দন সাহা ও মওদুদ খান মজুন গঠন করেন আধুনিক কবিসংঘ। এই সংঘের আয়োজনে কলিকাতা থেকে আগত তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়, প্রবোধ কুমার সান্যাল ও রাধারানী দেবীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। 

অরণিঃ ১৯৭২ সালে টাঙ্গাইল শহরে এই সংগঠন আত্ম প্রকাশ করে। ১৯৭৫ এ সাহিত্য সম্মেলন, ১৯৭৬-এ জাতীয় কবি সম্মেলন, ১৯৭৮-এ দু‘দিনব্যাপী সাহিত্য সম্মেলন এবং প্রতি বছর রবীন্দ্র-নজরুল জন্ম জয়ন্ত্রী আয়োজন করে। এই প্রতিষ্ঠান ১৯৮০ সালের ৮ জুন টাঙ্গাইল তথা বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ টাকা দর্শনীর বিনিময়ে কবিতা পাঠের আয়োজন করে। 


স্বকাল পরিষদঃ ১৯৮২ সালের ২ ফেব্রুয়ারী এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়। নানা ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এই প্রতিষ্ঠান আয়োজন করে। 

টাঙ্গাইল সাহিত্য সংসদঃ প্রতিষ্ঠা ২২ এপ্রিল ২০০৪। এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে মাসে দু‘বার নিয়মিত কবিতা পাঠের আয়োজন করে। 

টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমী, জেলা সদরে অবস্থিত। শিল্পকলা একাডেমীর বিশাল ও আধুনিক হলরুম টাঙ্গাইলের শিল্প প্রদর্শনীর মূল কেন্দ্র। 

টাঙ্গাইল জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৯৮ সালে টাঙ্গাইল ক্লাবের পিছনে। যা নারীদের ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছে। 

টাঙ্গাইল জেলা এডভোকেট বার সমিতিঃ প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৬৯ সালে জেলা সদরে। এটি একটি আইনজীবীদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী প্রতিষ্ঠান। 

টাঙ্গাইল ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠা হয় ১৩০১ বাংলা ভিক্টোরিয়া রোডে। 

বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন টাঙ্গাইল শাখা প্রতিষ্ঠা হয় আকুর টাকুর পাড়া, টাঙ্গাইলে ১৯৮৭ সালে। 

সৌখিন মৎস্য শিকারী সমিতিঃ প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৮৪ সালে। জেলা সদর টাঙ্গালে। 


টাংগাইলের উল্লেখযোগ্য লেখক (জীবিত) নামঃ অরুণাভ সরকার জন্মস্থানঃ মির্জাপুর, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ২৯ মে ১৯৪১ প্রকাশিত গ্রন্থঃ কবিতা- নগরে বাউল (১৯৭৬); কেউ কিছুই জানে না (১৯৮০). নারীরা ফেরে না (২০০৬)। শিশুসাহিত্য- খোকনের অভিযান (কাহিনীকাব্য ১৯৭৮); ইলশেগুঁড়ি (কবিতা ১৯৭৯); ভালুক আর দুই বন্ধু (ছন্দোবদ্ধ প্রতিলেখন, ১৯৮৪); গল্প থেকে গল্প (প্রতিলেখন, ২০০৫); ভালুক আর মৌমাছি (প্রতিলেখন, ২০০৫)। প্রবন্ধঃ সম্পাদনার প্রথম পাঠ (২০০৪)। 

নামঃ আরশাদ আজিজ জন্মস্থানঃ টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ০১ জানুয়ারি ১৯৫০ প্রকাশিত গ্রন্থঃ প্রবন্ধ- গবেষণা : তন্ত্র মন্ত্র কাব্য (১৯৮৫)। শিশুতোষ- দর্শনের গল্প (১৯৮২)। অনুবাদ- আলস্যের জয়গান (১৯৯৪); দুই বিশ্বযুদ্ধের অন্তবর্তীকালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (১৯৯৫); শিক্ষা ও সমাজ কাঠামো (১৯৯৭); বিবাহ ও নৈতিকতা (১৯৯৮); নির্বাচিত রচনা- লর্ড মেকলে (২০০০); ইউরোপের ইতিহাস ১৮০০-১৯৩৫ (২০০৬); ইউরোপের ইতিহাস প্রাচীন কাল থেকে ষোড়শ শতক (২০০৭)। 


নামঃ আরেফিন বাদল জন্মস্থানঃ পোড়াবাড়ি, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ প্রকাশিত গ্রন্থঃ প্রবন্ধ- গবেষণা : ঐতিহাসিক প্রেমপত্র (১৯৭৬); রবীন্দ্রনাথের জীবনে নারী (১৯৯৮)। ছোটগল্প- প্রসবোম্মুখ যন্ত্রণাবিদ্ধ (১৯৭৮); আগামীকাল ভালবাসার (১৯৮০); Short Stories of Arefin Badal (১৯৮২); বাছাই গল্প (১৯৯৪); নিত্যদিন কালগোনা (২০০৪)। উপন্যাস- নিসর্গের সন্তানেরা (১৯৮১); ইমুবাবু (১৯৯৭); ঐ আসে আমিরালী (১৯৯৯); সা’রার ব্রীজ (১৯৯৯); হাকিমউদ্দিন তরফদার (২০০১)। নাটক- কাছের মানুষ কাঁদে (১৯৮৯); ঐ আসে আমিরালী (১৯৯০); ইমুবাবু (১৯৯৭); নানীর সুটক্যাস (২০০৫)। শিশুসাহিত্য (গল্প)- অন্তুর বরসাজা (১৯৮০)। স্মৃতিকথা- তারকালোকের জন্ম ও আমার কথা (২০০৩)। সম্পাদনা- মওলানা ভাসানী (১৯৭৭); বাংলাদেশের নির্বাচিত গল্প (১৯৯০)। কবিতা- অচল কাব্য (২০০৫)। পুরস্কার- মওলানা ভাসানী পদক (১৯৮৭); বাংলাদেশ ফিল্ম মুভমেন্ট পুরস্কার (১৯৯৭); সিডনী খেয়াঘাট কালচারাল ফোরাম এওয়ার্ড (১৯৯৮); ময়মনসিংহ লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পুরস্কার (২০০৬)। 


নামঃ আলমগীর রেজা চৌধুরী জন্মস্থানঃ ধলাপাড়া, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ১০ মার্চ ১৯৫৫ প্রকাশিত গ্রন্থঃ গল্প- মুক্তিযুদ্ধের গল্প (১৯৭৮); সুদূরের ফানুস (১৯৮০); যুদ্ধ বণিক (১৯৯৭)। কবিতা- ভালোবাসার অমলচিঠি (১৯৮৪)। উপন্যাস- নিসর্গের মানবী (১৯৯৭)। কিশোর উপন্যাস- রাজকন্যার দৌড় (১৯৯৭)। অন্যান্য- তসলীমা নাসরীনের চিঠি : রুদ্র এক পুরুষের সন্ধানে (১৯৯২)। 


নামঃ আলম তালুকদার জন্মস্থানঃ গালা (ঘাটাইল), টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ০১ জানুয়ারি ১৯৫৬ পেশাঃ চাকরি। প্রকাশিত গ্রন্থঃ ছড়া- ঘুম তাড়ানো ছড়া (১৯৮২); খোঁচান ক্যান? (১৯৯০); ছড়ায় চল্লিশ হাদিস (১৯৯০); ঐ রাজাকার (১৯৯২); প্যাচাল না আলাপ? (১৯৯৬); চাঁদের কাছে জোনাকি (১৯৯৯); যুদ্ধে যদি যেতাম হেরে (২০০১); ডিম ডিম ভূতের ডিম (২০০২)। ছোটগল্প- কেমন করে স্বাধীন হলাম (২০০১); মহাদেশ বাংলাদেশ উপদেশ (১৯৯৮)। সম্পাদনা- ফৌজদারী বিচার পদ্ধতি (১৯৮৭); ছোট ছোট উপাখ্যান হাসিতে আটখান (১৯৯৮); শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল আহসান স্মারকগ্রন্থ (১৯৯৯); শিশুদের শিশুটামি (২০০০); অবশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা (২০০০); নাইদেশের রূপকথা (২০০২); কিশোর সমগ্র (২০০৪); পাঁচটন জোক্স (২০০৫); ছড়ার মেলা পরীর মেলা (২০০৫) রূপকথার গল্প (২০০৫); ছড়ায় ছড়ায় আলোর নাচন (২০০৫); এককথায় দশকথা (২০০৫); মজার দেশ পাখির দেশ (২০০৩); মজার বাহন যানবাহন (২০০৪); সিন্ধুতলে বিন্দুজ্বলে (২০০৪); ১০ হালি তালিবালি (২০০৫); মিষ্টিভড়া মজার ছড়া (২০০৬); ঘোড়ার ডিম (২০০৬); জাদুঘরের ছড়া (২০০৭); কিশোর সমগ্র-২ (২০০৭)। পুরস্কার- পালক এওয়ার্ড (১৯৯৬); অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার (১৪০৫); চোখ সাহিত্য পুরস্কার, কলকাতা (২০০০); জসীম উদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার (২০০১); কাজী দকাদির নওয়াজ পুরস্কার (২০০৪); চন্দ্রাবতী একাডেমী পুরস্কার (২০০৫); শহীদ বুদ্ধিজীবী সম্মাননা পুরস্কার (২০০৫); মানবিক চেতনা পুরস্কার, ঢাকা (২০০৭)। 


নামঃ আল মুজাহিদী জন্মস্থানঃ টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ০১ জানুয়ারি ১৯৪৩ প্রকাশিত গ্রন্থঃ কবিতা- হেমলকের পেয়ারঅ; ধ্রুপদ ও টেরাকোটা; যুদ্ধ নাস্তি; মৃত্তিকা অতি-মৃত্তিকা; প্রিজন ভ্যান; দিদেলাস ও ল্যাবিরিন্থ; ঈডের হ্যামলেট; প্রাচ্য পৃথিবী; পৃথিবীর ধুলো, সৌর জোনাকি; ভিতা নুওভা, অ্যাকাডেমাসের বাগান; আল মুজাহিদীর শ্রেষ্ঠ কবিতা; আল মুজাহিদীর প্রেমের কবিতা; সন্ধ্যার বৃষ্টি; কালেরবন্দীতে; পাখির পৃথিবী; আলবাট্রাস, ভঙুর গোলাপ; কাঁদো হিরোশিমা কাঁদো নাগাসাকি; পালকি চলে দুলকি তালে। উপন্যাস- প্রথম প্রেম; চাঁদ ও চিরকুট; মিলু এট ও স্যোন্যাটা; লাল বাতির হরিণ; রূপোলি রোদ্দুর; আলোর পাখিটা; ছুটির ছুটি; খোকার আকাশ; খোকার যুদ্ধ। ছোটগল্প- প্রপঞ্চের পাখি; বাতাবরণ; ভরা কটাল মরা কটালের চাঁদ। প্রবন্ধ- গবেষণা : কালান্তরের যাত্রী। শিশুসাহিত্য- হালুম হুলুম; তালপাতার সেপাই; শেকল কাটে খাঁচার পাখি; সোনার মাটি রূপোর মাটি; ইস্টিশানে হুইসেল। প্রবন্ধ- সমাজ ও সমাজতত্ত্ব। অনুবাদ- কাইফি আজমির কবিতা; পৃথিবীর কবিতা; আহমদ মরাজের কবিতা; উর্দূ কবিতা; হিন্দি কবিতা; হাইনরীশ হাইনে-র কবিতা। পুরস্কার- জীবনানন্দ দাশ একাডেমী পুরস্কার; কবি জসীম উদ্দীন একাডেমী পুরস্কার; মাইকেল মধুসূদন একাডেমী পুরস্কার; শেরে বাংলা সংসদ পুরস্কার; জয়বাংলা সাহিত্য পুরস্কার; একুশে পদক (২০০৩)। 


নামঃ আশরাফ সিদ্দিকী জন্মস্থানঃ নাগবাড়ী, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ০১ মার্চ ১৯২৭ পেশাঃ অধ্যাপনা ও চাকরি (অবসরপ্রাপ্ত)। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থঃ তালেব মাষ্টার ও অন্যান্য কবিতা (১৯৫০); সাত ভাই চম্পা (১৯৫৫); বিষকন্যা (১৯৫৫); উত্তর আকাশের তারা (১৯৫৮) ইত্যাদি। উপন্যাস- শেষ কথা কে বলবে (১৯৮৮); গুণীন (১৯৮০); আরশিনগর (১৯৮২); উপন্যাস সমগ্র (২০০২)। গল্প- রাবেয়া আপা (১৯৬২); গল্প সমগ্র (২০০২)। প্রবন্ধ- গবেষণা :- বেঙলী রিডলস (১৯৬১); লোকসাহিত্য (১৯৬৩); কিংবদন্তীর বাংলা (১৯৭৫) চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস (১৯৮৬) ইত্যাদি। শিশু সাহিত্য- যুগের কথা (১৯৫৪); ছড়ার মেলা (১৯৬০); কাগজের নৌকা (১৯৬২); সিংহের মামা ভোম্বল দাস (১৯৬৩); আমার দেশের রূপকাহিনী (১৯৬৪) ইত্যাদি। পুরস্কার- All Bengal Essay Competion, Gold Medal (১৯৪৮), বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৪); ইউনেস্কো পুরস্কার (১৯৬৬); একুশে পদক (১৯৮৮); জাতীয় সাহিত্য পদক (১৯৮৯); এশিয়াটিক সোসাইটি পদক (২০০৪) ইত্যাদি। 


নামঃ খান মাহবুব জন্মস্থানঃ করাতিপাড়া, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ০৩ মে ১৯৭০ পেশাঃ প্রকাশনা ব্যবসা। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থঃ টাঙ্গাইল পরিচিতি (২০০৯); টাঙ্গাইল স্থান নাম বিচিত্রা (২০০৮) এ সময়ের অর্থনীতি (২০০৭) একুশ শতকের অর্থনীতি (২০০০) । সম্পাদনা- বিমল গুহের কবি ও কবিতা (২০০২); আবু করিমের বঞ্চাশ বছর (২০০৪); ইত্যাদি। পুরস্কার- নির্ধারিত বক্তৃতা, কলেজ পর্যায়ে জাতীয় পুরস্কার (১৯৯২)। টাংগাইল জেলা পরিষদ সম্মানণা (২০০৮)। 


নামঃ চৌধুরী হাবীবুর রহমান সিদ্দিকী জন্মস্থান ঃ ভদ্রবাড়ি, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ০১ জানুয়ারি ১৯৩৪ পেশাঃ চাকরি। অতিরিক্ত সচিব (অবপ্রাপ্ত), অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থঃ কবিতা- তাজমহল (১৩৭৫); হিমালয় (১৩৮৯); জনতায় নির্জনতা (১৩৯০); স্বাধীনতা (১৯৯৩); কবিতাসমগ্র (২০০৩) ইত্যাদি। উপন্যাস- ঝরনা (১৯৬৩); ঘর-সংসার (১৯৬৫); স্মৃতি বড়ই মধুর (২০০৪) ইত্যাদি। ছোটগল্প- কথা কওনা কেন বউ (১৯৫০); ভঙ্গুর নদী (১৯৫৭); মুক্তিযুদ্ধের গল্প (১৯৭২) ইত্যাদি। প্রবন্ধ- গবেষণাঃ হযরত মোহাম্মদ (দঃ)-এর সৈনিক জীবন (১৩৭৯); রবীন্দ্র কাব্যে গঙ্গা-পদ্মা-ইছামতী নদী (১৩৮২) ইত্যাদি। পুরস্কার- ময়মনসিংহ সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৫১); আদমজী পুরস্কার (১৯৫৪); অগ্রণী পুরস্কার (১৯৫৮); পল্লীকবি জসীমউদ্দীন পুরস্কার (১৯৯৩) ইত্যাদি।

 

নামঃ জাহাঙ্গীর ফিরোজ জন্মস্থানঃ বীরপুশিয়া, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ০৬ এপ্রিল ১৯৫৫ পেশাঃ সাংবাদিকতা। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থঃ কবিতা- বদ্ধমাতাল রোদে (১৯৮৬); যে ছিলো প্রাণের জরুরি (২০০১); চাকরিজীবীদের কোন স্পার্টাকাস নেই (২০০৩); অনুবিশ্বের মেঘমালা (২০০৩); লালনের পাখি উড়ে যায় (২০০৬) ইত্যাদি। 


নামঃ মামুনর রশীদ জন্মস্থানঃ ভাবনদত্ত, ঘাটাইল, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২৭ পেশাঃ সাস্কৃতিচর্চা ও ব্যবসা। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থঃ নাটক- ওরা কদম আলী (১৯৭৮); ওরা আছে বলেই (১৯৮০); মে দিবস (১৯৮১); ইবলিশ (১৯৮২); এখানে নোঙর (১৯৮৪); গিনিপিগ (১৯৮৫) অববাহিকা (১৯৮৬); নীলা (১৯৮৭) সমতট (১৯৯০); পাথর (১৯৯৩) ইত্যাদি। পুরস্কার- বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২); আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯০)। 


নামঃ মাহবুব সাদিক জন্মস্থানঃ আইসরা, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ২৫ অক্টোবর ১৯৪৭ পেশাঃ অধ্যাপনা। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থঃ কবিতা- সন্ধ্যার স্বভাব (১৯৭৬); স্বপ্নচৈতন্যের ডালপালা (১৯৮৩); সুন্দর তোমার নির্জনে (১৯৮৫); কবিতা সংগ্রহ (১৯৮৫) নিরালোকে জলঝর্ণার ধ্বনি (২০০৬) ইত্যাদি। ছোটগল্প- জ্যোৎস্নাবোনা রাত (১৯৯৭)। প্রবন্ধ- গবেষণা: বুদ্ধদেব বসুর কবিতাঃ বিষয় ও প্রকরণ (১৯৯১); জীবনানন্দঃ কবিতার নান্দনিকতা (২০০৪) ইত্যাদি। কিশোর সাহিত্য- তরুদের একাত্তর (১৯৯৪); স্বপ্নের বনে বনে (১৯৯৮); আমরা করবো জয় (১৯৯৯)ইত্যাদি। পুরস্কার- নাজ স্মৃতি স্বর্ণপদক (১৯৯৪); খালেদ মোশাররফ স্মৃতিপদক (১৯৯৭); ভাসানী পদক (২০০৫); টাঙ্গাইল সাহিত্য সংসদ পুরস্কর (২০০৬); বাংলা একাডেমী পুরস্কার (২০০৮)। 


নামঃ মাহবুব হাসান জন্মস্থানঃ আইসরা, বাসাইল, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ২৮ এপ্রিল ১৯৫৪ পেশাঃ সাংবাদিকতা। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থঃ কবিতা- তন্দ্রার কোলে হরিণ (১৯৮৪); তোমার প্রতীক (১৯৮৬); স্বপ্নগুলো বিক্রি হয়ে গেছে (১৯৯৯); মাহবুব হাসানের কবিতা (২০০১); চাঁদে পেয়েছে আমাকে সেই ছেলেবেলা (২০০৬) ইত্যাদি। উপন্যাস- পরী (১৯৮৫); অর্ধসত্য (১৯৮৮); কালসন্ধ্যা (১৯৯০); প্রেম রহস্য (১৯৯৩); যু্দ্ধভাসান (১৯৯৪); ডাঁশ (১৯৯৫); ফুল কাহিনী (২০০৫)। প্রবন্ধ- গবেষণাঃ নজরুলের রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা (১৯৯৭); মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের কবিতা (২০০১); কবিতার উপাদান(২০০৪) ইত্যাদি। পুরস্কার- আসাফ-উদ-দৌলা রেজা স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৪); কৃতি ফুটবলার সামাদ পদক (২০০৩); অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক (২০০৫) ইত্যাদি। 


নামঃ মাহমুদ কামাল জন্মস্থানঃ আকুর টাকুর, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ২৩ অক্টোবর ১৯৫৭ পেশাঃ অধ্যাপনা। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থঃ কবিতা- কবিতার মতো কিছু কথা (১৯৮৭); শব্দেরা কখনো মানতে চায় না ছন্দাছন্দ (১৯৯০); পরকীয় (১৯৯৭); স্বপ্নের রাজকন্যা (১৯৯৮); দ্বিতীয় জীবন (২০০১); বিকেলের সকল চড়ুই (২০০৩); নির্বাচিত কবিতা (২০০৫); মুহূর্তের কবিতা (২০০৬) ইত্যাদি। প্রবন্ধ- গবেষণাঃ নাট্যকলার উৎসমূল ও অন্যান্য প্রবন্ধ (২০০৪); চলমান রাজনীতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (২০০৫) ইত্যাদি। ভ্রমন সাহিত্য- দেশের বাড়ি পাশের বাড়ি (২০০৬)। সম্পাদনা-ষাটের দশকের কবিতা (১৯৯১); সত্তর দশকের কবিতা (১৯৯৬); বাংলা কবিতা উৎসব স্মারক গ্রন্থ (২০০৩); কামাক্ষা নাথ সেন স্মারক গ্রন্থ (২০০৪) ইত্যাদি। পুরস্কার- বাংলাদেশ পরিষদ পুরস্কার ((১৯৭৭); ভোরের কাগজ পাঠক ফোরাম পদক (২০০১); সৌহার্দ্য কবিতা উৎসব, কলকাতা পদক (২০০২) ইত্যাদি। 


নামঃ রফিক আজাদ জন্মস্থানঃ গুণী, ডাকঘর- জাহিদগঞ্জ, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ পেশাঃ কবি, সাংবাদিক ও চাকরি। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থঃ কবিতা- অসম্ভবের পায়ে (১৯৭৩); চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া (১৯৭৭); ভালবাসার কবিতা (১৯৮৩); প্রেম ও বিরহের কবিতা (১৯৯৪); কণ্ঠে তুলে আনতে চাই (১৯৯৬); শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০০৭) ইত্যাদি। সম্পাদনা- দুই বাংলার কবিতায় মা (১৯৯৭)। পুরস্কার- বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮১); সুহৃদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৯); কবি আহসান হাবীব পুরস্কার (১৯৯১); কবি হাসান হাফিজুর রহমান পুরস্কার (১৯৯৬); বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা (১৯৯৭)। 


নামঃ রাশেদ রহমান জন্মস্থানঃ রসুলপুর, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ০৫ নভেম্বর ১৯৬৭ পেশাঃ চাকরি। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থঃ গল্প- আগুনঘেরা নদী (১৯৯৭); সুন্দর পাপ ও বিলাসভূমি (২০০০); একদিন শুকনো নদীতে (২০০৩); অন্ধকারে বৃষ্টির গান (২০০৫)। উপন্যাস- স্বপ্ন কিংবা স্বপ্নের ছায়া (২০০৬)। সম্পাদনা- উতঙ্ক। 


নামঃ রেজোয়ান সিদ্দিকী জন্মস্থানঃ এলাসিন, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ পেশাঃ চাকরি। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থঃ উপন্যাস- ভুল জ্যোৎস্নায় পদলেহন (১৯৮৩); রোদের পিপাসা (১৯৮৯); পালাও জুলিয়া (১৯৮৯); এখানে দাঁড়িয়ে আছি (১৯৯৪); যুদ্ধ (১৯৯৫) ইত্যাদি। ছোটগল্প- ভালবাসি না (১৯৯৬)। নাটক- কোথায়ও ক্ষরণ (১৯৮৯); বিরান জনপদে (১৯৯৪); রোবট মন (২০০১); ভালোবাসার কর্মসূচি (২০০২); শুধু তোমার জন্য (২০০৪)। প্রবন্ধ- গবেষণাঃ পূর্ব বাংলার সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনঃ ১৯৪৭-১৯৭১ (১৯৯৫); গণতান্ত্রিক পরিবেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি (১৯৯৬); Cultural Colonization : India-Bangladesh Issue (১৯৯৬); কথামালার রাজনীতিঃ ১৯৭২-১৯৭৯ (১৯৯০); বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম (১৯৯৫)। ভ্রমন কাহিনী- চীন ভেতর থেকে বদলে যাচ্ছে (১৯৮৭); সোভিয়েট ইউনিয়নে কেন এই পরিবর্তন (১৯৯২)। ইত্যাদি। শিশু সাহিত্য- চলো যাই সবুজের রাজ্যে (২০০১); বিপন্ন প্রকৃতি (২০০১); প্রাণীজগৎ (২০০১); তোমার শরীর (২০০১); চলতে ফিরতে বিজ্ঞান (২০০১)। জীবনী- রাসপুটিন (১৯৯০)। 


নামঃ সাযযাদ কাদির জন্মস্থানঃ দেলদুয়ার, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ১৪ এপ্রিল ১৯৪৭ পেশাঃ সাংবাদিকতা। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থঃ কবিতা- যথেচ্ছ ধ্রুপদ (১৯৭০); দরজার কাছে নদী (১৯৯২); আমার প্রিয় (১৯৯৫); কবিতা সমগ্র (২০০১); জানে না কেউ (২০০৩); আলো আমার (২০০৫)। ছোটগল্প- চন্দনে মৃগপদচিহ্ন (১৯৭৬); অপর বেলায় (১৯৯৭)। শিশুসাহিত্য- তেপান্তর (১৯৭১); মনপবন (১৯৯০); রঙবাহার (১৯৯১); বীরবল নামা (২০০২); উপকথন আবারও (২০০৬) ইত্যাদি। পুরস্কার- একুশে স্মৃতি স্বর্ণপদক (১৯৯৪); কবি জসীমউদ্দীন পুরস্কার (১৯৯৭); নন্দিনী সাহিত্য পুরস্কার (২০০১); বাচসাস পুরস্কার (২০০২); টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী স্কুলের ‘গুণী সম্মাননা’(২০০৫)। 


নামঃ সোহরাব পাশা জন্মস্থানঃ ফুলহারা, টাংগাইল জন্ম তারিখঃ ০১ জুলাই ১৯৫৬ পেশাঃ অধ্যাপনা। প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থঃ কবিতা- পাথর রাত্রি (১৯৮৮); আনন্দ বাড়ি নেই (১৯৯৩); বিকেলে জলপাই রোদে (২০০২); শরবিদ্ধ স্বপ্নবেলা (২০০৪)। সম্পাদনা- বিকাশ (১৯৭৩); সাহিত্য মেলা (১৯৮১-৮৫); শিশু মেলা (১৯৮১-৮৫)।