টাঙ্গাইল বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের একটি জেলা যেখানে বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে যা এর অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে অবদান রাখে। টাঙ্গাইলের কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ হল:
নদী সম্পদ: টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী, ঝিনাই, বংশী, লৌহজং, লাঙ্গুলিয়া, এলংজানি, জুগনি, পাউলি, ফটিকজানি এবং তুরাগ প্রভৃতি জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বেশ কয়েকটি নদী রয়েছে। এই নদীগুলি সেচ, পানীয় জল সরবরাহ, স্যানিটেশন, জলবিদ্যুৎ উত্পাদন, নৌচলাচল এবং বিনোদনের জন্য জল সরবরাহ করে। নদীগুলি সামুদ্রিক এবং অভ্যন্তরীণ উভয় প্রকার মাছের প্রজাতির সমন্বয়ে সমৃদ্ধ মৎস্য সম্পদের ভিত্তিকেও সমর্থন করে। নদীতে পাওয়া সাধারণ কিছু মাছ হল ইলিশ, পমফ্রেট, টুনা, হাঙ্গর, চিংড়ি, কাঁকড়া, গলদা চিংড়ি, মোলাস্ক, কার্প, ক্যাটফিশ, স্নেকহেড, তেলাপিয়া, রোহু, মৃগাল এবং কোই। টাঙ্গাইলের মানুষের প্রাণিজ প্রোটিন ও আয়ের প্রধান উৎস মাছ।
বনজ সম্পদ: টাঙ্গাইলের কিছু বনাঞ্চল আছে যেগুলো কাঠ, জ্বালানি কাঠ, বাঁশ, বেত এবং অন্যান্য বনজ পণ্য সরবরাহ করে। বনগুলি জীববৈচিত্র্য এবং বাস্তুতন্ত্রের পরিষেবাগুলিকেও সমর্থন করে, যেমন মৃত্তিকা সংরক্ষণ, জল নিয়ন্ত্রণ এবং কার্বন সিকোয়েস্টেশন। টাঙ্গাইলের বৃহত্তম বন সংরক্ষিত মধুপুর জাতীয় উদ্যান, যা ৮,৪৩৬ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে। উদ্যানটি হরিণ, বানর, কাঠবিড়ালি, সজারু, শিয়াল, শেয়াল, মঙ্গুজ, সিভেট বিড়াল, বন্য শূকর এবং অজগরের মতো বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল। পার্কটিতে একটি বোটানিক্যাল গার্ডেনও রয়েছে যা বিভিন্ন গাছপালা এবং ফুল প্রদর্শন করে।
সর্বেশষ আপডেট ০৫.০৮.২০২৩
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস