Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
আতিয়া মসজিদ
label.image.title
প্রতিষ্ঠানের ধরণ
মসজিদ
প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম

পদবি

মোবাইল

ঠিকানা
দেলদুয়ার, টাঙ্গাইল।
ইতিহাস
<p style="text-align: justify;"><b>আতিয়া মসজিদ</b> <a href="http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6" title="বাংলাদেশ">বাংলাদেশের</a> <a href="http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2_%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE" title="টাঙ্গাইল জেলা">টাঙ্গাইল জেলার</a> দেলদুয়ার উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক <a href="http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6" title="মসজিদ">মসজিদ</a> যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই মসজিদটি ষড়োশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছে এবং এখানে নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ এ স্থাপনার তত্ত্বাবধান করছে।</p><p style="text-align: justify;">টাঙ্গাইল অঞ্চলে প্রাপ্ত মূল শিলালিপিগুলোর মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদ এলাকায় প্রাপ্ত একটি আরবি এবং একটি ফার্সি শিলালিপি রয়েছে, তবে এগুলোতে মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কিত তথ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা অসংগতি পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত শিলালিপিটিতে নির্মাণকাল ১০১৯ হিজরী (১৬১০-১১ খ্রি.) দেয়া হলেও কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথের উপর স্থাপিত অপর শিলালিপিতে এর নির্মাণকাল ১০১৮ হিজরী (১৬০৮-৯ খ্রি.) উল্লেখ করা হয়েছে।</p><h2 style="text-align: justify;"><span class="mw-headline" id=".E0.A6.87.E0.A6.A4.E0.A6.BF.E0.A6.B9.E0.A6.BE.E0.A6.B8">ইতিহাস</span></h2><p style="text-align: justify;">আরবি ‘আতা’ থেকে ‘আতিয়া’ শব্দটির উৎপত্তি, যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো ‘দান কৃত’। আলী শাহান শাহ্‌ বাবা <a href="http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A6%AE_%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%80" title="আদম কাশ্মিরী">আদম কাশ্মিরী</a> (রঃ)-কে সুলতান আলাউদ্দিন হুসায়েন শাহ টাঙ্গাইল জেলার জায়গিরদার নিযোগ দান করলে তিনি এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু হরেন; সেসময় তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচারের এবং আনুষাঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য আফগান নিবাসী কররানী শাসক সোলাইমান কররানীর কাছ থেকেসংলগ্ন এলাকা দান বা ওয়াকফ্ হিসাবে লাভ করেন। এবং এই এলাকাটি তাঁকে দান করায় এই অঞ্চলটির নাম হয়েছে ‘আতিয়া’।</p><p style="text-align: justify;">পরবর্তীতে বাবা আদম কাশ্মিরীর পরামর্শক্রমে সাঈদ খান পন্নী নামক সূফিজীর এক ভক্তকে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর উক্ত আতিয়া পরগণার শাসন কর্তা হিসেবে নিয়োগ দান করেন। এই সাঈদ খান পন্নীই ১৬০৮ সালে বাবা আদম কাশ্মিরীর কবরের সন্নিকটে আতিয়া মসজিদ নির্মাণ করেন।</p><p style="text-align: justify;">মুহাম্মদ খাঁ নামক তৎকালিন এক প্রখ্যাত স্থপতি এই মসজিদ নির্মানের পরিকল্পনা ও নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। রওশন খাতুন চৌধুরাণী ১৮৩৭ সালে এবং আবুল আহমেদ খান গজনবী ১৯০৯ সালে মসজিদটির সংস্কার করেন।<sup> </sup>পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার এই মসজিদটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে অধিগ্রহণ করেন।</p><h2 style="text-align: justify;"><span class="mw-headline" id=".E0.A6.AC.E0.A6.BF.E0.A6.AC.E0.A6.B0.E0.A6.A3">বিবরণ</span></h2><p style="text-align: justify;">লাল ইট দ্বারা নির্মিত এই মসজিদটি আকারে বেশ ছোট, মাত্র ১৮.২৯ মিটার (৫৯ ফুট) x ১২.১৯ মিটার (৪০ ফুট) এবং দেয়ালের পুরুত্ব ২.২৩ মিটার (সাড়ে ৭ ফুট)। এর চারকোণে ৪টি অষ্টকোণাকৃতীর মিনার রয়েছে, যার উপরের অংশটি ছোট গম্বুজের আকৃতি ধারণ করেছে।</p><p style="text-align: justify;">সুলতানি ও মুঘল - এই দুই আমলেরই স্থাপত্যরীতির সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে এই মসজিদের নির্মান শৈলীতে।</p>