নাগরপুর, টাংগাইল।
ঢাকা ও টাঙ্গাইল এই দুই জেলা থেকে খুব সহজেই উপেন্দ্র সরোবরে যাওয়া যায়। ঢাকার মহাখালী থেকে বাসযোগে সরাসরি টাঙ্গাইলের নাগরপুরে আসা যায়। ঢাকার গাবতলী থেকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বাসযোগে সাটুরিয়া পর্যন্ত এসে সেখান থেকে ব্যাটারি চালিত থ্রি হুইলার বা সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে পাটুরিয়া, এরপর সেখান থেকে রিকশা নিয়ে এলেই উপেন্দ্র সরোবর বা বার ঘাটলা দীঘি।
টাংগাইল শহর হতে সিএনজি যোগে নাগরপুর উপেন্দ্র সরোবরে যাওয়া যায়।
প্রধান শিক্ষক
কাঠুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
কথিত আছে কোন এক জ্যোৎস্না রাতে প্রজাদরদী মানবতাবাদী জমিদার রায় বাহাদুর তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে বৈঠকখানার বাহিরে প্রাণ ভরে জ্যোৎসা দেখছিলেন। এমন সময় দেখতে পান অদুরে বিল থেকে কতিপয় অজ্ঞাতনামা কুলশীল মহিলা কলসী নিয়ে জল নিচ্ছে। তিনি দৃশ্যটি দেখে কৌতুহল বশতঃ তখনই খবর নিয়ে জানলেন এলাকার অনেকেই সুপেয় পানির অভাবে রাতে বিল থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে। বিষয়টি তাঁর মনে খুবই কষ্ট দেয় এবং প্রজাদের এই অমানবিক কষ্ট মোচনের লক্ষ্যে জমিদার রায় বাহাদুর পরের বছরই ১৩৬৮ সালে বিহার থেকে দিঘি খনন বিশেষজ্ঞ এনে মোট ১১ একর জায়গায় সুদৃশ্য এই দিঘি খনন করেন। জনগনের সুবিধার্থে দিঘির চারদিকে সুপ্রসস্ত ১২টি ঘাটলা এবং এখানে সারা বছর স্বচ্ছ পানি নিশ্চিত করার জন্যে ৬টি সুগভীর ইন্দারা (কুয়া) খনন করা হয়। এছাড়া নৈসর্গিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যে দিঘির চারপাশে লাগানো হয় সুদৃশ্য খেজুর গাছ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস