Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
karatiya jamindar palace
Location

Karatiya, Tangail

Transportation

১। মহাখালি বাসস্ট্যান্ড থেকে নিরালা, ঝটিকা, ধলেশ্বরীসহ বিভিন্ন বাসে ১৩০/- টাকা থেকে ১৬০/- টাকা ভাড়ায় প্রায় তিন ঘণ্টায় করটিয়ায় পৌছাতে পারবেন। করটিয়া বাস স্টপেজের জিপিএস অবস্থান হল  (২৪°১২’৩২.০৬”উ, ৮৯°৫৮’৫০.৩৩”পু)।

 ২। করটিয়া স্টপেজ থেকে রিকশা অথবা অটোরিকশায় ১০/- টাকা থেকে ১৫/- টাকা ভাড়ায় প্রায় ১০ মিনিটে জমিদারবাড়িতে পৌছাতে পারবেন। জমিদারবাড়ির জিপিএস অবস্থান হল (২৪°১৩’২৪.৫৯”উ, ৮৯°৫৮’৪৩.২৫”পু)  এবং মসজিদের জিপিএস অবস্থান হল (২৪°১৩’২০.০৮”উ, ৮৯°৫৮’৪৬.৭৪”পু

Details

বাংলাদেশের যে কয়টি জমিদার বাড়ী সমৃদ্ধ ইতিহাসের সাথে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে করটিয়া জমিদার বাড়ী তার মধ্যে অন্যতম। টাঙ্গাইল জেলায় বেশ কয়েকটি জমিদার বাড়ী রয়েছে কিন্তু সব গুলোকে ছাপিয়ে ইতিহাস আর ঐতিয্যে করটিয়া জমিদার বাড়ী আলাদা স্থান করে নিয়েছে। টাঙ্গাইল শহর হতে ১০ কিঃ মিঃ দূরে পুটিয়া তীর ঘেসে আতিয়ার চাঁদ খ্যাত জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নী জমিদার বাড়ী। প্রাকৃতিক ও নিরিবিলি পরিবেশের এই জমিদার বাড়ীটি প্রায় ১.০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ০.৫ কিলোমিটার প্রস্থ বিশিষ্ট প্রাচীরঘেরা। যেখানে রয়েছে রোকেয়া মহল, রানীর পুকুর ঘাট, ছোট তরফ দাউদ মহল এবং বাড়ী সংলগ্ন স্থাপতের আদলে গড়া মসজিদ, একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য।মসজিদটিতে দুই সারিতে আটটি গম্বুজ রয়েছে। প্রথম সারিতে পাঁচটি একই আকারের ছোট গম্বুজ রয়েছে এবং দ্বিতীয় সারির তিনটি গম্বুজের মধ্যে মাঝেরটি আকারে বড়। মসজিদের পূর্বদিকে পুরাতন সিঁড়ি বিশিষ্ট একটি ১৫ ফুট উঁচু মিনার রয়েছে। মসজিদটির নির্মাণের সময় সম্পর্কে জানা যায়নি।  মোঘল ও চৈনিক স্থাপত্যের মিশেলে নির্মিত জমিদার বাড়িটি প্রথম দর্শনেই আপনার মন কেড়ে নেবে। সীমানা প্রাচীরের ভেতরে অবস্থিত মোঘল স্থাপত্য শিল্পের নির্দেশন রোকেয়া মহল যা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মর্যাদা পাওয়ার দাবি রাখে।

জমিদারবাড়ির মূল ফটকটি বর্তমানে তালাবদ্ধ রাখা হয় এবং বাইরের কাউকে এখানে ঢুকতে দেওয়া হয়না। তাই এই জমিদারবাড়িটি দেখতে গেলে নিশ্চিত করে যাওয়া উচিত যে আপনি ভিতরে ঢুকতে পারবেন। অন্যথায় এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি আপনাকে না দেখেই ফিরতে হবে। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় যে, বাংলা বৈশাখ মাসের এক এবং বারো তারিখে ছাড়াও দুই ঈদের দিন জমিদারবাড়িটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।