Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
Delduar zamindar house
Location

delduar, Tangail

Transportation

CNG Yog can be directly reached from Tangail.

Contact

Md. Masud Uz Zaman Khan. Delduar Union Parishad Chairman, 01712395247

Details

দেলদুয়ার জমিদার বাড়িটি অনেকের কাছে নর্থ হাউজ নামেও পরিচিত। তবে জমিদার বাড়িটি কবে বা কখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা সচারচর দেখে থাকি বা জানি যে, বেশীরভাগ জমিদাররাই ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। কিন্তু এই জমিদররা ছিলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। যাদের পূর্ব পুরুষরা এখানে আফগানিস্তান থেকে এসেছেন। জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা হলেন ফতেহদাদ খান গজনবী লোহানি। জমিদার বংশধররা তাদের পূর্ব পুরুষ আফগানিস্তানের গজনী থেকে আসার কারণে তাদের নামের শেষে গজনবী লোহানি খেতাবটি ব্যবহার করতেন। জমিদার বাড়ির জমিদারদের মধ্যে দুজন ছিলেন খুবই আলোচিত স্বনামধন্য জমিদার। যারা ছিলেন দানবীর, উচ্চশিক্ষিত ও ব্যবসায়ী। তারা হলেন স্যার আবদুল করিম গজনভি এবং স্যার আবদুল হালিম গজনভি। আব্দুল হাকিম খান গজনবী ও করিমু নেসা খানম চৌধুরানীর সন্তান ছিলেন তারা দুইজন। তাদের মাতা করিমুন নেসা ছিলেন বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত ও কবি বেগম রোকেয়ার বোন। তখনকার সময় তারা ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত।

জমিদার স্যার আবদুল করিম গজনভি ১৮৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইংল্যান্ড এবং জার্মানিতে পড়ালেখা করেন। ১৮৯৪ সালে তিনি জমিদারির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি ব্রিটিশ ভারত শাসনামলে ব্রিটিশ সরকারের দুইবার মন্ত্রী হয়েছিলেন এবং ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে নাইট ও নবাব বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত হন ১৯২৮ ও ১৯৩৩ সালে। তিনি ইংরাজী ভাষায় তিনটি বই লিখেন। বইগুলোর নাম হলো - Pilgrim traffic to hejaz and Palestine, Muslim education in BengalThe diearkiyal education in Bengla. তিনি ১৯৩৯ সালে মারা যান।

জমিদার স্যার আবদুল হালিম গজনভিও বড় ভাই জমিদার স্যার করিম গজনবীর মতই ছিলেন উচ্চশিক্ষিত। তিনি ১৮৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্যবসা ও রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ইন্ডিয়া স্টিমশিপ কোম্পানির চেয়ারম্যান ও কলকাতার মুসলিম চেম্বার অব কমার্স এবং ইন্ডিয়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি The Musolman এবং The Star of India পত্রিকার প্রকাশের সাথে জড়িত ছিলেন। স্যার আব্দুল হালিম গজনবীও বড় ভাইয়ের মত ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ১৯৩৫ সালে নাইট উপাধি পান। মৃত্যুর চার বৎসর আগে তিনি কলকাতা থেকে দেলদুয়ার জমিদার বাড়িতে ফিরে আসেন এবং সেখানেই ১৯৫৩ সালে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে এই জমিদার বাড়ির জমিদারিরও সমাপ্তি ঘটে।

চারদিক দিয়ে দেয়ালবেষ্টিত একতলা বিশিষ্ট জমিদার বাড়িটি ঔপনিবেশিক স্থাপত্যশৈলীর আদলে তৈরি করা। জমিদার বাড়ির সামনের দিকে রয়েছে পারিবারিক কবরস্থান। পূর্ব-দক্ষিণ কোনে রয়েছে একটি মসজিদ। পূর্ব পাশে বসার জন্য রয়েছে লোহার গার্ডেন চেয়ার, গোল টেবিল এবং পাশেই রয়েছে কৃত্রিম পানির পেয়ারা। বাড়ির পিছন দিকে রয়েছে আম বাগান এবং বাগানের মাঝখানে রয়েছে টালির দোতালা শেড। ধারণা করা হয় এটি ছিল বাড়ির মহিলাদের জন্য আড্ডাখানা।